নিজস্ব প্রতিবেদক
পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটির লংগদুতে জরাজীর্ণ গাউসপুর সেতু দিয়ে চলছে ঝুকিপূর্ণ পারাপার। ৩ ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ চরমে। স্থানীয়দের সঙ্কা ভাঙাচুরা কাঠামো ভেঙে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এলজিইডির আশ্বাস চলতি বছরের মধ্যেই নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
কাঁচালং নদীর পূর্ব পারেই গাউসপুর সেতুটি। লংগদু সদরের সাথে বগাচতর, গুলশাখালী ও ভাসান্যাদম এই ৩ ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। ৯০'র দশকের নির্মিত সেতুটি গত ৮ বছর ধরে জরাজীর্ণ। রেলিং ও পিলার ভেঙে পড়ায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার। সেতুর পিলারের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় যেকোনো সময় ধসে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে গাড়ি ও পথচারী যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেতুর এমন নাজুক অবস্থায় পাহাড়ের উৎপাদিত কাঁচামাল ও পণ্য রপ্তানিতে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষীরা।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য মরণফাঁদ বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, নিরাপদ যাতায়াতে দ্রুত যদি নতুন সেতু নির্মাণ করা না হয় তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের কাছে নতুন সেতুর দাবি তাদের।
বগাচতর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বশর জানান, আমরা আরও আগে থেকেই এই সেতু নির্মার্ণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। তেমন কোনো সুফল পাইনি। তবে কয়েক বছর আগে রাজনগর বিজিবি কর্তৃক অল্প কিছু সংস্কার করে ঝুকিপূর্ণ সেতু ও মালবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড দিলেও কিছুদিন পর জীবিকার তাগিদে আবার পূর্বের ন্যায় চলাচল শুরু করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে এলজিইডি রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি বলেন, ট্রপোগ্রাফি ও সয়েল টেস্ট করে সদর দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আমরা ডিজাইনও পেয়েছি। বছরের মধ্যে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে বলে তার আশ্বাস।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |