| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

নানিয়ারচরে পাহাড় ধসের ৭ বছর; থামেনি অবৈধ পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন

  • আপডেট টাইম : 13-06-2025 ইং
  • 107065 বার পঠিত

মেহেরাজ সুজন, নানিয়ারচর

হ্রদ পাহাড়ে ঘেরা পার্বত্য জনপদ রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় ২০১৮ সালের ১২ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধস আজও মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় ভয়াল সেই দিনের কথা। টানা চারদিনের বর্ষণে সৃষ্ট ওই ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ জন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন নারী। নিখোঁজ হন আরও তিনজন।

দুর্ঘটনাটি ঘটে উপজেলার অন্তত পাঁচটি গ্রামে—বুড়িঘাট, ধর্মপাশা, বগাছড়ি আমতলী, বড়পুলপাড়া ও ছড়াইপাড়া এলাকায়।


ঘটনার দীর্ঘ সাত বছর পার হয়ে গেলেও বাস্তব চিত্রে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে এখনো বসবাস করছে বহু পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হলেও থেমে নেই পাহাড় কাটা এবং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মতো পরিবেশবিনাশী কার্যক্রম।


অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের কুকুরমারা এলাকায় পাহাড়ি ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারী মো. ছগীর জানান, তিনি একা নন উপজেলায় বর্তমানে নানক্রুম এবং বগাছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ছড়া থেকে বালু তোলা হচ্ছে নিয়মিত।

উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হচ্ছে পাহাড়। খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ১৪ মাইল এলাকায় গেলো বছর একাধিক পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে ক্যাংগালছড়ির তালুকদার পাড়ার পাশে যাত্রী ছাউনির উল্টো দিকে একটি বিশাল পাহাড় কেটে ফেলা হয়।


এছাড়া ইসলামপুরে বগাছড়ি-নানিয়ারচর সড়কের পাশে একটি ব্যক্তিমালিকাধীন পাহাড় কেটে বিক্রি করা হলে, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর। পত্রিকায় প্রকাশের পর প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের ফলে সেই পাহাড়টির আরও ধ্বংস রোধ করা সম্ভব হয়।

নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবি করিমুন্নেছা জানান, “অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।”

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ পার্বত্য পোস্ট | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায়